ধুমপানমুক্ত পরিবেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই-অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।
ধুমপানমুক্ত পরিবেশ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। এজন্য সরকারীভাবে আরো কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিরাজগঞ্জ-(সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।
তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রনে একাধিক আইন রয়েছে। কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে এই আইনগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডাঃ মুন্না এমপি এ সময় আরো বলেন, ধুমপানমুক্ত সুস্থ পরিবেশের জন্য তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। জনবহুল পরিবেশে ধুমপান করতে দেখলে আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে দ্রুত জানানোর জন্য জরুরি হেল্প লাইন চালু করতে হবে, যেন এই আইন অমান্যকারিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজী দৈনিক “দি ডেইলি স্টার” আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রন আইন ও ধুমপান মুক্ত পরিবেশ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
ঢাকার “দি ডেইলি স্টার” সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিল বৈঠকে “দি ডেইলি স্টার” পত্রিকার উপ-সম্পাদক (বিশেষ প্রতিবেদন) শাহানুর ওয়াহিদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ চৌধুরি ডিউক এমপি, ফজিলাতুননেছা বাপ্পি এমপি, ডাঃ অরুপ রতন ও ডাঃ শাহেদ ইমরান।
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
—-ডেইলি স্টারের গোলটেবিলে ডাঃ মুন্না এমপি।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধিন আওয়ামীলীগ সরকার সকল ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকার অনেকটাই সফলতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে শুধু সরকারের একক প্রচেষ্টায় সকল ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব না। এজন্য দেশের সুশীল সমাজ, পেশাজীবীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ডাঃ মুন্না এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম সকল ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রথম পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মত গুরুত্বপূর্ন দুটি মন্ত্রনালয়ে নারী মন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। সেখানে তারা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। একই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও সরকারের গুরুত্বপূর্ন পদে নারীরা নিযুক্ত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু সরকারিভাবেই নয় বেসরকারি খাতেও যে নারীরা তাদের মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছেন সেখানে তারা সফল হচ্ছেন। দেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন।
সোমবার সকালে ইউ এন এফ পি এ ও ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার আয়োজিত “বাংলাদেশে নারীর সম-অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি এই কথাগুলো বলেন।
আর্ন্তজাতিক নারী দিবস-২০১৫ উপলক্ষে ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত এই গোলটেবিল আলোচনায় ডেইলি স্টার এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ইউ এন এফ পি এ এর ওআইসি মি. আইওরি কাটো, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের এম্বাসেডর জন ব্রিফেন, নেদারল্যান্ডের এম্বাসেডর গার্বেন ডি জং, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিব ও জাতীয় মহিলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়েশা খানম। এ সময় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডাঃ মিল্লাত মুন্না এমপি’র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। এ সময় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
রবিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।
এ সময় ডাঃ মুন্না এমপি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করার কাজে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিক্ষার নগরী হিসেবে পরিচিত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সারাদেশের চিকিৎসা সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখছে। এই মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা চিকিৎসকদের চিকিৎসাবিদ্যায় আরো উন্নত শিক্ষা ও গবেষনা নিশ্চিত করার জন্য এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করা হবে।
এ সময় ডাঃ মুন্না এমপি আরো বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগীরা যেন সব ধরনের উন্নত সেবা পায় এ জন্য অতিদ্রুত এই হাসপাতালটিতে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আই সি ইউ), করনারি কেয়ার ইউনিট (সি সি ইউ) ও নিউরো সার্জারী বিভাগ চালু কওে প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি প্রদান করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ আনোয়ারুল হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ
মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বি এম এ) রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ডাঃ তবিবুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বি এম এ) রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ একে তরফদার, সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ডাঃ খলিলুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।